তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের করা প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তবে শুনানি না করায় তা নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ (২২ নভেম্বর) কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা চেয়ে সাবরিনার আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। আজ কারাগার থেকে সাবরিনাকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে সাবরিনার আইনজীবী শুনানি করেননি। এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন আবেদনটি নামঞ্জুর করেন।
এছাড়া আজ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এ জন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
এর আগে ১৭ নভেম্বর কারাগারে থাকা সাবরিনার পক্ষে তার আইনজীবী প্রথম শ্রেণির মর্যাদা চেয়ে আবেদন করেন। সাবরিনার উপস্থিতিতে শুনানি করার আবেদন করেন তিনি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন ২২ নভেম্বর সাবরিনাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন।
২০২০ সালের ৩০ আগস্ট সাবরিনার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।
চলতি বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জাল করোনা সনদ দেওয়ার মামলায় সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুলসহ ছয়জনকে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে সাবরিনা।